সুরা ইখলাস কি ফজিলত:-----

 

 



সূরা ইখলাসের অফুরন্ত ফজিলত। 


সূরা ইখলাস প্রতিদিন ২০০ বার ওযুর সাথে অর্থাৎ ওযু অবস্থায় পড়ার ১০টি উপকার। 


১. আল্লাহ তা'য়ালা তার রাগের ৩০০ দরজা বন্ধ করে দিবেন।


২. রহমতের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন।


৩. রিজিকের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন। 


৪. মেহেনত ছাড়া গায়েব থেকে রিযিক পৌঁছে দিবেন।


৫.আল্লাহ তা'য়ালা নিজের জ্ঞান থেকে জ্ঞান দিবেন।আপন ধৈর্য্য থেকে ধৈর্য্য দিবেন।আপন বুঝ থেকে বুঝ দিবেন।


৬. ৬৬বার কুরআন খতম করার সাওয়াব দিবেন।


৭. ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।


৮.জান্নাতের মধ্যে ২০টি মহল দিবেন, যেগুলো ইয়াকুত মার্জান ও জমজমদের তৈরী।প্রত্যেক মহলে ৭০ হাজার দরজা থাকবে।


৯. ২০০০ রাকাত নফল নামায পড়ার সাওয়াব দিবেন।


১০.যখন তিনি মারা যাবেন ১,১০,০০০ ফেরেশতা তার যানাযায় শরিক হবেন।(সুবহানআল্লাহ)


আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে যানার বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুক।আমিন-ইয়া রব।

  আমিন। 


(রেফারেন্সঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন সহীহুল বুখারীঃ৫০১৪, ৫৫৪৩, ৭৩৭৫ নাসায়ীঃ ৯৯৫ আবূ দাউদঃ১৪৬১ আহমাদঃ১০৬৬৯ সহীহ আল জামি আস সগীরঃ৬৪৭২)


সুরা ইখলাস কি ফজিলত:-----
১/    সুরা ইখলাস একবার পরলে দশপারা, তিন বার পরলে একখতম সমান।
২/     সুরা ইখলাস দশবার পরলে জান্নাতে একটি মহল তৈরি করা হবে।
৩/     বাড়িতে প্রবেশের সময় একবার সালাম ও একবার সুরা ইখলাস পাঠ করলে, তাড়াতাড়ি ধনদ্বলতে মালামাল হয়ে যাবে। বৃষ্টির মতো রিজিক বর্ষিত হবে। (পরিক্ষীত)।(voll-@495)
৪/       কোন একটি গরিব মুসলমান লোক পির কাছির মহম্মদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, যে ঘরে  রুজিতে বরকতের জন্য আমল দাও।পির সাহেব বলল,রোজ ১০০বার বার সুরা ফাতিহা এবং ১০০ সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে,আর এই আমল আমার মুর্শেদ সৈয়দ আহমদ সাইদ (আল্লাহর বড়ো ওলি) দিয়েছে।(কিতাব ওয়াকাই)
৫/     হাকিম উলুমত  নিজের কিতাবে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় (কতবার পড়তে হবে নির্দিষ্ট নাই) সুরা ইখলাস পাঠ করবে,সে তিনটি জিনিস থেকে হেফাজত থাকবে। সে তিনটি জিনিস হল শীর্ক, সন্দেহ,ফাসাদ।।
৬/      প্রতিদিন এশায় নামাজের পর এক হাজার বার ১২৫ দিন পর্যন্ত পড়লে সব জায়েজ হাজত পুরন হবে।
৭/        সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করার সওয়াব পাওয়া যাবে এবং জান্নাত ওয়াজিব হবে।
৮/      যদি কেউ ১০০ বার সুরা ইখলাস পড়ে, তাহলে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। রোগগ্রস্ত ব্যক্তি লিখে ধুয়ে পানি পান করলে রোগ ভালো হয়ে যায়।
৯/       কোন ব্যক্তির সমস্ত রকমের এশা অভ্যাস ছাড়ানোর জন্য,রাত্রে ঘুমের মধ্যে ও ব্যক্তির কাছ থেকে এক গজ দূরে দাঁড়িয়ে হালকা উঁচু আওয়াজে সুরা ইখলাস একবার পাঠ করে ওর দিকে ফুঁ মারতে হবে। ফুঁ মারার সময় ঘুম না ভাংগে।আর এই আমলটি  ২১ দিন করতে হবে।
১০/     এশা নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার পর ১১বার দরুদে ইব্রাহিম তারপর বিসমিল্লাহ সহ ৪১বার সুরা ইখলাস পাঠ করে আবার ১১বার দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করতে হবে, এরপর হাত উঠিয়ে ছেলে মেয়ের জন্য বিয়ের রিস্তার দুয়া করতে হবে। এই আমলটি ৯০দিন করতে হবে। ৯০দিনের আগে রিস্তা হয়ে গেলে এই আমলটি না ছেড়ে ৯০দিন করতে হবে, ফলে ছেলে মেয়ের সংসার জীবন সুখের হবে।
      আর যে বাচ্চাদের জন্ম হয় নি, জন্ম হবে তাদের ভবিষ্যৎ এর রিস্তার কথা মাথায় রেখে এই আমলটি রমজান মাসে ১১রোজা থেকে শুরু করতে হবে ৯০দিন পর্যন্ত।   (wazifa of marriage | amol of marriage" --al ubra Islamic)
১১/     যে ব্যক্তি রাত্রে ২০০বার সুরা ইখলাস পাঠ করে সে ২০০সাল কি সওয়াব পাবে।
১২/     হুজুর আকরাম (সঃ) প্রতিরাতে সুরা ইখলাস শোয়ার আগে একবার পাঠ করতেন।
১৩/      যে ব্যক্তি প্রতিদিন সুরা ইখলাস পড়া সহজ করে নিবে সে শীর্ক, কুফরী, ফাসাদ থেকে হিফাজত থাকবে এবং খালেস তৈহিদ পাবে।তার ঈমান ঠিক থাকবে।
১৪/      সুরা ইখলাস ফজরের নামাজের পর কিংবা বাড়ি থেকে বাইরে যাবার সময় ১১বার পাঠ করলে রুজি বেশি হয়, সমস্ত রকমের দুঃখ দূর, আর বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় ২১বার এই সুরা পাঠ করলে সমস্ত রকমের বিপদ আপদ থেকে  নিরাপতে গন্তব্যস্থলে পোঁছান যায়।
১৫/     সূর্য উঠার সময় সুরা ইখলাস দশবার পাঠ করে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তাই পাবে।
১৬/     হজরত ইমাম খুন্নাতি রহঃ বলেছেন মাহে রজব মাসে যে ব্যক্তি প্রতিদিন সুরা ইখলাস একবার পাঠ করবে,দশ হাজার উটে করে কাগজ নিয়ে এসে জমিন ও আসমানের বাসিন্দাদের সোনার কলম দিয়ে বলা হবে এর নেকি লিখ। কতদিন লিখা হবে তা আল্লাহ ভালো জানেন।
১৭/    যদি কোন ব্যক্তির সৎ হাজত থাকে তবে সে জানো ২১দিন তাক প্রতিদিন ৩০০বার করে সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করিতে হইবে। খুব তাড়াতাড়ি মনের আশা পূরণ হবে।।
১৮/      হজরত হুজাইফা রাঃ থেকে বর্নিত হুজুর সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি এক হাজার বার সুরা ইখলাস পাঠ করে সে তার নফসকে আল্লাহর কাছ থেকে কিনে নিলো।
১৯/      যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় সুরা ইখলাস পাঠ করে এবং ও অবস্থায় মারা যায় তবে তার কবরের আজাব মাফ,আর ফেরেস্তারা কাঁধে তুলে নিয়ে পুলসিরাত পার করিয়ে দিবে।
২০/      কোন ব্যক্তিকে বিচছুতে কামড়ালে ও জায়গায় সুরা ইখলাস,ফালাক,নাস পাঠ করে ফুঁ মারলে ভালো হয়ে যায়।
২১/      যে ব্যক্তি এশা নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ এই ভাবে আদায় করবে, যে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা একবার এবং ২১বার সুরা ইখলাস পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে ২টি মহল তৈরি করা হবে।।
২২/       হজরত আলী হয়তে বর্নিত , যে ব্যক্তি সফরের সময় সুরা ইখলাস ১১বার পাঠ করবে , আল্লাহ তাকে অকল্যাণ থেকে দূরে রাখবে এবং কল্যাণ দান করবে।।
২৩/      হজরত আব্দুর রহমান রহঃ তিনার কিতাব "নুজহুতুল মাজালিশে" লিখেছেন যে ব্যক্তি চাশতের ১২ রাকাত নামাজ এই ভাবে আদায় করবে যে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসী একবার সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করে, তাহলে প্রতি আসমান (আসমান ৭টা, আল্লাহর আরশ নিয়ে ৮টা)থেকে ৭০ হাজার ফেরেশতা সাদা কাগজ ও নূরের কলম নিয়ে নামবে। কিয়ামত পর্যন্ত তার সওয়াব লিখতে থাকবে।আর যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন প্রত্যেক ফেরেশতা এক জোড়া করে পোশাক নিয়ে এসে বলবে এই কবর বাসি উঠে পড়,আজ তোমার কোন ভই নেই।রোজ না হলে সপ্তাহে,মাষে,বছরে , জীবনেও  একবার এই নামাজ পড়ে নেওয়া উচিত।
২৪/     এশা নামাজের পর একা নিরিবিলি জায়গায় সুগন্ধি ব্যবহার করে ৭১বার সূরা ইখলাস পাঠ করে, এই আমলের আগে ও পরে দরুদ পাঠ করে। রোজ এই আমল করলে ৪০ দিনের আগে জিন নজরে আসা শুরু হয়ে যাবে।(না করায় ভালো)
২৫/     হজরত আবুল হাসান শাহজিল রহঃ বলেছেন যে, সূরা ইখলাস পাঠ করে তার ইমানের সাথে মৃত্যু হয়।
২৬/      যে ব্যক্তি নিজের দুয়াকে কবুল করাতে চাই, মুস্কিল থেকে মুক্তি পেতে চাই,রোগ থেকে সুস্থ্য হতে চাই, সে যেন ৫১বার সূরা ইখলাস পাঠ করে এর যা সওয়াব বদরের যুদ্ধের সাহাবিদের (৩১৩ জন) রুহ প্রতি হাদিয়া করে দিতে হবে। এর ফলে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।
২৭/    জাবের রাঃ হয়তে বর্নিত, যে ব্যক্তি আরাফাতের ময়দানে জোহরের নামাজের পর ১০০বার চতুর্থ কলেমা,১০০বার সূরা ইখলাস,১০০বার দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করে, তবে তার জন্য মাগফেরাত হয়ে যাবে এবং পুরা আরাফাতের ময়দানে সবার জন্য মাগফেরাতের জন্য দুয়া করলে সবার জন্য মাগফেরাত হয়ে যাবে।
    অন‍্য রেওয়ায়েত বর্নিত, যে এই আমলটি করে তাহলে আল্লাহর তার সাথে একটি ফেরেশতার জামায়াত পাঠিয়ে দেয়। এই জামায়াত মৃত্যু পর্যন্ত ওর সাথে থাকবে।
২৮/   হজরত আনাশ রাঃ হয়তে বর্নিত, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ি কারোর সাথে কথা না বলে সূরা ইখলাস পাঠ (যতবার খুশি) করবে সে ৫০জন সিদ্দিকীনের সমান সওয়াব পাবে। একজন সিদ্দিকীন নবীদের পরের স্থান। তাহলে চিন্তা কর ৫০জন সিদ্দিকীনের সওয়াব কত হবে।
২৯/     হজরত আনাশ রাঃ হয়তে বর্নিত, যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে সূরা ফাতিহা একবার এবং সূরা ইখলাস পাঠ করলে মৃত্যু ছাড়া সমস্ত কিছু থেকে হিফাজতে থাকবে।
৩০/     হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় সুরা ইখলাস তিনবার, সূরা ফালাক তিন বার, সূরা নাস তিনবার পাঠ করলে সেই রাতে মৃত্যু হলে সহিদের দরজা পাবে এবং মৃত্যু না হলে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
৩১/     যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর সাতবার সূরা ইখলাস, সাতবার সূরা ফালাক, সাতবার সূরা নাস পাঠ করলে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত রকমের বিপদ ,আপদ,বুরাই থেকে হিফাজত থাকবে। আল্লাহ তাকে গুনাহ থেকে হিফাজত করবে।
        অন‍্য রেওয়ায়েত বর্নিত যে ব্যক্তি জুমার নামাজের সালাম ফিরানোর পর কারো সঙ্গে কথা না বলে এই আমলটি করে তাহলে তার এই জুমা থেকে পরের জুমা পর্যন্ত গুনাহর কাফারা আল্লাহ নিজেই হয়ে যাবে।
      অন‍্য রেওয়ায়েত বর্নিত যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর এই আমলটি করে আল্লাহ তার এই জুমা থেকে পরের জুমা পর্যন্ত, সমস্ত মালপত্র মাহফুজ রাখে। আল্লাহ তার মাল হিফাজত করে।
৩২/   হজরত আলী যাঃ হয়তে বর্নিত যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর ১০বার সূরা ইখলাস পাঠ করে সেই দিন সে সমস্ত গুনাহ থেকে হিফাজত থাকবে। শয়তান যতই চেষ্টা করুক না কেন।
৩৩/   হজরত আব্দুল্লা বিন খুবাইদ হয়তে বর্নিত যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস পাঠ করলে প্রত্যেক জিনিস থেকে হিফাজত থাকবে।
৩৪/    সকাল সন্ধ্যায় চার কূলের আমল করলে অন্তোরে খুশিতে ভরে যাবে।
৩৫/    যে কোন সময় ঘুমোনোর আগে সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস পাঠ করে ঘুমালে সমস্ত কিছু থেকে হিফাজত থাকবে। না পরে ঘুমালে তার কোন সিকুরিটি বা হিফাজত থাকবে না। ফলে যে কোন সমস্যায় ভুগবে।
৩৬/   হজরত জুবায়ের রাঃ হয়তে বর্নিত যে ব্যক্তি সফরে নিরাপত থাকুক, নাম রোশন হক,মাল কামাক, সে যেন প্রথমে বিসমিল্লাহ পাঠ করার পর সূরা কাফিরুন,নাসর, ইখলাস,ফালাক,নাস তার পর বিসমিল্লাহ বলে শেষ করতে হবে।( ৫সূরা ও ৬ বিসমিল্লাহ)..

দুটি নববী আমল,গায়েবী খাজানা থেকে রিজিক আসবে। | Al abrar Islamic life"


   এই আমলটি প্রত্যেক দিন করলে সমস্ত রকমের দুঃখ, কষ্ট ,বিপদ থেকে হিফাজত থাকবে।

৩৭/   যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর ১১বার সূরা ইখলাস পাঠ করে সেই দিন সে সমস্ত গুনাহ থেকে হিফাজত থাকবে এবং কোন সফরে গেলে সমস্ত রকমের বিপদ আপদ থেকে হিফাজত থাকবে।

৩৮/   যে ব্যক্তি প্রতেক ফরজ নামাজের পর সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করে তার প্রতি আল্লাহ রাজি হয়ে যায় এবং তাকে মাগফেরাত করে দেয় চিরকালের জন্য।

৩৯/   যে ব্যক্তি এক হাজার বার সুরা ইখলাস পাঠ করে তার পর যে দুয়া করে তার দুয়া কবুল হয়। তার মনোবাসনা পূরন হবে।(২৭-২৮/p-35).

      যে ব্যক্তি এক হাজার বার সুরা ইখলাস পাঠ করে সে মরনের আগে নিজের ঠিকানা জান্নাতে না দেখে তার মৃত্যু হবে না। এক দিনের আমল।

৪০/     শরীরের যে অংশটা গুনাহ করে তার প্রতি সূরা ইখলাস পাঠ করে হাদিয়া করলে গুনাহ করা বন্ধ হয়ে যাবে।

৪১/     যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ২০০বার পাঠ করে আগে ও পরে বিসমিল্লাহ সহ এবং হজরত ফাতিমার উপর হাদিয়া করে দুয়া করে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন ভালোবাসা তৈরি হবে যা কল্পনা করতে পারবে না।(part--37)

৪২/   যে ব্যক্তি দুরাকাত নামাজে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা একবার এবং সূরা ইখলাস ৫০বার পাঠ করে, তার সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হবে।(KRP-38)

 


সুরা ইখলাস কি ফজিলত:----- সুরা ইখলাস কি ফজিলত:----- Reviewed by Adam Blog on April 29, 2023 Rating: 5
Powered by Blogger.