1/
অভাব দূর হওয়ার দোয়া
বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মাকহুল (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ বাক্যগুলো সাতবার বলবে আল্লাহতায়ালা তার সত্তরটি অভাব দূর করবেন। (তন্মধ্যে) সবচেয়ে হাল্কা বিপদ হলো (মানুষের) অভাব। দোয়াটি হলো-
আরবি:-
لاَ حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ ، وَلا مَلْجَأَ مِنَ اللهِ إِلاَّ إلَيْهِ
বাংলা উচ্চারণ:-
লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ- লা মালজায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি।
অর্থ:
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং নেক আমলে মশগুল হওয়া সম্ভব না। আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তার কাছেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।
2/ .
৭০টি বিপদ এর দোয়া
হযরত আবু নাঈম ও ইবনে আবি শায়বা রহ. একটি আমলের কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দুয়া একবার পাঠ করবে- একশ’ বার নয়, মাত্র একবার- আল্লাহ তায়ালা তার সত্তরটি বিপদ দূর করে দিবেন। আর সর্বনিম্ন বিপদ হল দারিদ্রতা। আর অন্যান্য বিপদগুলো এর চেয়ে অনেক বড় বড়। যে ব্যক্তি এই দুয়ার আমল করবে, আল্লাহ তাআলা তার এসব বিপদ দূর করে দিবেন।
দোয়া :-
لاحول ولاقوة الا بالله ولاملجا ولامنجا من الله الا اليه
বাংলা উচ্চারণ:
লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি।
দুআটি মুখস্থ থাকলে তো ভালো। না থাকলে মুখস্থ করে নিন। নিয়মিত পাঠ করুন। সব রকম সমস্যা থেকে নাজাত পাবেন, ইনশাআল্লাহ। দুঃশ্চিন্তাগ্রস্তদের জন্য সান্তনা : কানযুল উম্মালে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই আয়াতটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হৃদয়কে প্রশান্তি দান করবেন।
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِين
َ এখানে ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের শর্তারোপ করা হয়েছে। কারো অন্তরে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে সুফল পাবে না।
[ ]রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহরকাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ (বুখারি, মিশকাত)
দোয়াটি হলো-لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ - سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر - وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِاللهউচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।অনুবাদ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’।
অতপর বলবে-‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।
লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতার ফজিলত ও ওজিফা
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোন উপায় ও শক্তি নেই
সম্মানিত দর্শক শ্রোতা বৃন্দ আজ আমি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহর ফজিলত, পড়ার নিয়ম, কখন কখন পড়বেন, কিভাবে আল্লাহর গুপ্তধন হাছিল করবেন, কিভাবে সকল অশুভ দুর করবেন, সকল দুঃখ, বিপদ থেকে নাজাত পাবেন, কিভাবে জান্নাতের রাস্তা সহজ করবেন, কিভাবে সব দোয়া কবুল করাবেন, সব নামাজ কবুল করাবেন, কিভাবে ৭০টি বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন, ৯৯টি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন ১০টি হাদীস শরীফ আপনাদের সামনে তুলে ধরব, আলোচনাটি যদিও একটু দীঘ হবে কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনার সময়টা অপচয় হবেনা বরং আপনি ফায়দামন্দ হবেন ইনশা আল্লাহ।
১।৭০টি কষ্ট দুর এবং দারিদ্রতা দুর হবে লাহাওয়ালা ওয়ালা কুয়্যাতার জিকির দ্বারা যেমন হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যাকে দুঃখ ও চিন্তা ঘিরে নেয় তার উচিত লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ বেশী বেশী পড়ে।
তিরমিযী ৩৬০১, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৮০ নংহাদীস মাকহূল (রহঃ) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতেবর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকেবললেন, ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ’’ বেশি বেশি করে পড়তে। কেননা এবাক্যটি জান্নাতের ভাণ্ডারসমূহের গুপ্তধনসমুহের একটি গুপ্তধন।
মাকহূল (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পড়বে ‘‘লা-হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি ওয়ালা-মানজাআ মিনাল্ল-হি ইল্লা- ইলায়হি’’- আল্লাহতার সত্তরটি কষ্ট দূর করে দিবেন, যার সর্বনিম্নহলো দারিদ্র্যতা।
#এক হাদীসে আছে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ জান্নাতের দরজাসমুহ তেকে একটি দরজা
#অপর এক হাদীসে আছে লা হাওয়ালা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করলে প্রতিবার পাঠ করার সাথে সাথে একজন করে ফেরেশতা নাজিল হয় আর এই ফেরেশতা আল্লাহর হকুমে রোগসমুহকে দুরে করে দেন।
#হুজুর (দ) এরশাদ করেন যে ১০ বার বিসমিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি”ল আলিয়্যিল আজিম পড়বে আল্লাহ তাকে গুনাহ থেকে এমন ভাবে পুত পবিত্র করে দেন যেন আজই মায়ের পেট থেকে জন্মলাভ করেছে।
#হযরত আবু মুসা হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সে কখনো কারো মুহতাজ হবেনা মুখাপেক্ষি হবেনা।
২/ লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা জান্নাতের ভান্ডারবা গুপ্তধন যেমন-
বুখারী শরীফের ৪২০২ নং হাদীস- নবী করিম(দ) এরশাদ করেন জান্নাতের ভান্ডার সমুহেরমধ্যে একটি ভান্ডার হল ‘লা হাওলা ওয়ালাকুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’।
সুনানে ইবনে মাজার ৩৮২৬ নং হাদীস- হাযিমইবনে হারমালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরনিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেনঃ হেহাযিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘‘লা হাওলা ওয়ালাকুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তাহলো জান্নাতের গুপ্তধন ৩/আযানের জবাব ও লা হাওলা ওয়ালাকুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া এবং জান্নাতেরসুসংবাদ যেমন-
মুসলিম ৩৮৫, আবূ দাঊদ ৫২৭, সহীহ আলজামি‘ ৭১৪ এর হাদীস যার সার সংক্ষেপ যেআযানের জবাব দিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেআর আযানের জবাবে হাইয়্যা আলাস সালাহ ,হাইয্যা আলাল ফালাহ শুনে লা হাওলা ওয়ালাকুয়্যাতা পড়ার নির্দেশ রয়েছে।
৪। যারা কুরআন মুখস্থ করার সুযোগ পায়নিতাদের জন্য লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ যেমন আবু দাউদ এর ৮৩২ নং হাদীস
‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম-এর দরবারে হাজির হয়ে আরযকরলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কুরআনেরকোন অংশ শিখে নিতে সক্ষম নই। তাই আপনিআমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমার জন্যযথেষ্ট হবে। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি এই (দু‘আ) পড়েনিবেঃ
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ وَلَا إِلهَ اِلَّا اللّهُ اللّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
‘‘আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র। সব প্রশংসা তাঁর।আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত আর কোন মা‘বূদ নেই।আল্লাহ অতি বড় ও মহান। গুনাহ হতে বেঁচেথাকার শক্তি ও ‘ইবাদাত করার তাওফীক্বআল্লাহরই কাছে’’।
৫। নামাজের সালাম ফিরানোর পর লা হাওলাওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহর জিকির
যেমন মুসলিম শরীফের ৫৯৪ নং হাদীসআবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনিবলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম তাঁর সালাতের সালাম ফিরানোর পরউচ্চকণ্ঠে বলতেন,
‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, লা- হাওলাওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা- ইলা-হাইল্লাল্ল-হু ওয়ালা- না‘বুদু ইল্লা- ঈয়্যাহু, লাহুন্নি‘মাতু, ওয়ালাহুল ফাযলু, ওয়ালাহুস্ সানা-উলহাসানু, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুখলিসীনালাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন’’
৬। রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে কিংবা কেহ যদি ভয়পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন লা হাওলা ওয়ালাকুয়্যাতার দোয়া পড়া যেমন
বুখারী শরীফের ১১৫৪ নং হাদীস
‘উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনিবলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামইরশাদ করেছেন, যে লোক রাত্রে ঘুম থেকেজেগে এ দু‘আ পাঠ করবেঃ
‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হুওয়াল্ল-হু আকবার, ওয়ালা- হাওলা ওয়ালা-ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদনেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্বতাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকলবিষয়ে ক্ষমতাশীল। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র,সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়াপ্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয়েবড়, আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত গুনাহ হতে বাঁচারও সৎকার্য করার ক্ষমতা কারো নেই।)।
তারপর বলবে, ‘‘রব্বিগ্ ফিরলী’’ (অর্থাৎ হেআল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর) অথবা বললেন,পুনরায় দু‘আ পাঠ করবে। তার দু‘আ কবূল করাহবে। তারপর যদি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে ওসালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে,তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কবূল করাহবে। (বুখারী)[1]
৭। ৯৯টি রোগের ঔষধ লা হাওয়ালা ওয়ালাকুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ যেমন-
মেশকাত শরীফের ২৩২০ নং হাদীস আবূহুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেনঃ ‘‘লা- হাওলা ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’হলো নিরানব্বইটি রোগের ঔষধ, তন্মধ্যে ছোটটিহলো চিন্তা।[1]
৮। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লা হাওয়ালাওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া যেমন-
আবূ দাঊদ ৫০৯৫ তিরমিযী ৩৪২৬, ইবনু হিব্বান৮২২ নং হাদীস আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনিবলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেনঃ কোন ব্যক্তি ঘর হতে বের হবার সময়যখন বলে, ‘‘বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কাল্তু ‘আলাল্ল-হি, লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি’’ (অর্থাৎ- আল্লাহর নামে বের হলাম, আল্লাহরওপর ভরসা করলাম, আল্লাহ ছাড়া কোন উপায়নেই, ক্ষমতা নেই)- তখন তাকে বলা হয়, পথপেলে, উপায়-উপকরণ পেলে এবং নিরাপদথাকলে। সুতরাং শয়তান তার কাছ হতে দূর হয়েযায় এবং অন্য এক শয়তান এই শয়তানকেবলে, যে ব্যক্তিকে পথ দেখানো হয়েছে, উপায়-উপকরণ দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে-তাকে তুমি কি করতে পারবে?
৯। বায়তুল্লাহর তাওফাফে লা হাওয়ালা ওয়ালাকুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া যেমন-
ইবনু মাজাহ ২৯৫৭ নং হাদিস আবূ হুরায়রাহ্(রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃযে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ সাতবার তাওয়াফ করে এবং‘‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার, ওয়ালা-হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’ (অর্থাৎ-আল্লাহ পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহরই, আল্লাহছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন উপাস্য নেই, আল্লাহমহান, আল্লাহ ছাড়া কারো উপায় বা শক্তি নেই।)দু‘আটি পড়া ব্যতীত আর কোন কথা না বলেতার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, তার(‘আমলনামায়) দশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়এবং তার দশটি মর্যাদাও বৃদ্ধি করা হয়।
১০। অশুভ কিছু দেখলে লা হাওলা ওয়ালাকুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া যেমন
বায়হাকি ও আবু দাউদ শরীফের ৩৯১৯ নংহাদীস এর মফহুম হল ইসলামে শুভ অশুভবলতে কিছু নাই তবে কেহ যদি কিছু অশুভ মনেকরে তাহলে আল্লাহ রাসুল (দ) বলেন সে যেনপড়ে
اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ
‘‘হে আল্লাহ! আপনিই তো কল্যাণদাতা এবংআপনিই তো অকল্যাণ দূরকারী। আপনি ছাড়াআমাদের কোনো উপায় নেই, শক্তিও নেই।’’[
![লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ফজিলত জিকির দোয়া](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgWC5CyRUb7InYkt6DR5wqFq0DA9L2bh59TSOkYVRfu19TLwAnUEbUepx71Z0UyL5MGdRzp-6GDYXqbysYoHKx3ba1ROPfJ1lVJe4pzkUEygWd-_EFr6DrylbNO6tJYO7ccO8vk7zGqPuU/s72-c/mqdefault+%25281%2529.webp)