সূরা তাওবার শেষ আয়াতের দুটির ফজীলত:-

   


A/   Aaqa ﷺ Ki Rozana Ziyarat Aur Har Saal Hajj Ki Saadat Kaisay 

    Jis Ne Yeh 2 Ayaat Perhi | Badshah Ban Gaya 


      সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত | রুজি বৃদ্ধি পাবে |মনের আশা পূরন হবে | বিপদ দূর হবে


সূরা তাওবার শেষ আয়াতের দুটির ফজীলত:-
১/   ইমাম আবু জাফর সাদেকের উপর ইলমের নূর খুলেছিল সবচেয়ে বেশি সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি থেকে।ইমাম আবু জাফর সাদেক রঃ ছিলেন মারফত ইলমের বড় জ্ঞানী ব্যক্তি।
২/  সম্রাট আকবরের জামানায় আব্বুল ফজলের ঘটনা, আব্বুল ফজল ছিলেন বড় ইসলামী ইলমের অধিকারী। এক সরায়খানার ঘটনা, এই সরায়খানায় আব্বুল ফজল এক ব‍্যক্তির রাত্রে নূর দেখে জিজ্ঞেস করল এই নূরের রহস্য কি,ওই ব‍্যক্তি আব্বুল ফজলকে এই আয়াত দুটির নূরের কথা বলে ছিল।ওই ব‍্যক্তির একটি মজদুর ছিল যে উনার কাজ করত।ওই মজদুরের মায়ের কাছে জিন আসতো। জিন গুলি ছিল দরবেশ, মানুষের নানারকম উপকার করত। আমি একদিন জিন গুলিকে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কিছু উপদেশ দাও। একটি জিন বলল বেটা দিন ও দুনিয়া পেতে হলে সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি সব সময়ই পাঠ কর এবং নিজের জান বানাও। তার পর খুব পাঠ করার ফলে আজ আমি কাজ করলে দূর্বলতা মনে হয় না, রুজি কামায়লে শেষ হয় না, আমার সব জরুরত পুরন হয়, সন্তান চেয়েছি সন্তান পেয়েছি,ধ্বনদলত চায়লে তোমার চেয়েও বেশি ধ্বনদলত পেতাম কারণ আমি ধ্বনদলত নিয়নি। কেননা আমি জমিনের সমস্ত ধ্বনদলত দেখতে পাই, যা কেও দেখতে পাই না।আর আমি যখন ইচ্ছা তখন নবীকে দেখতে পাই। মজদুরের মালিক বলল শুনে আমিও পরতে শুরু করলাম। মালিক এটি আমলের ফলে অনেক অদৃশ্য রাজ মালিকের খুলে গেল। এই মালিক বলছে যে আমি যা চাই তাই পায় ,যা মনে করি তাই হয়। এই আমলটি এসেছে দরবেশ জিনের কাছ থেকে ওই মায়ের কাছে, মায়ের কাছ থেকে ছেলে (মজদুর), মজদুরের কাছ থেকে মালিক (তাজের), মালিকের কাছে থেকে আব্বুল ফজল পেয়েছে। এই কারণে আব্বুল ফজল বেনুকতা তফসির লিখেছিল।আব্বুর ফজল পরে আকবর বাদশার উজির ছিল।(vol-0475)
৩/    যে ব্যক্তি প্রথমে দরুদ শরীফ তার পর সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি একবার পাঠ করে আবার দরুদ শরীফ পাঠ করে কোন মিষ্টি দ্রব্যের  উপর ফুঁ দিয়ে নিজের বিবিকে খাওয়ালে মহব্বত, ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। ঝগড়া ঝাটি কম হয়।
৪/   প্রতিদিন প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সূরা তাওবার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, সে স্বপ্নে হুজুর সাঃ এর দিদার লাভ হবে।আর এই ব‍্যক্তির উপর কোন জাদু কাজ করবে না।
৫/   আগেকার বাদশারা একটি আমল করা জামাত বা ফোজ সেনামে রাখতো।এর একটি ঘটনা হল বাদশা মেহেবুব গজনবী।মেহেবুব গজনবী একটি ফোজকে সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি পাঠ করাতে লাগাত। এই ফজিরা সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি পাঠ করাতে বেস্ত‍্য থাকতো এবং দুয়া করত। এই কারণে মেহেবুব গজনবী প্রত্যেক যূদ্ধে বিজয় হাসিল করত।
৬/    সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি কবরের নূর।কবর নূরে ভরে যাবে।
৭/     সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি জাফরান কালি দিয়ে প্রতেক অক্ষর আলাদা আলাদা করে লিখে ব‍্যবহার করলে,লা ইলাজ রোগ, জাদু, মুস্কিলতা দূর হয়।
৮/    কোন বাচ্চা বদমাইশ করলে সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি পাঠ করে কানে দম করলে  বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে।
৯/    সূরা তাওবার শেষ আয়াত দুটি যতখুশি পাঠ করে হুজুর সাঃ এর উপর হাদিয়া পাঠাতে হবে। এক দিন না একদিন এই হাদিয়ার ফল আল্লাহ বড়ো পুরষ্কার হিসেবে ঘুরিয়ে দিবেই দিবে।(১-৯/vol-0475)

১০/     যে ব্যক্তি এই আয়াত দুটি মানুষের, দুনিয়ার আলমের ভালোবাসার উদ্দেশ্য এবং নেক জিনের ভালোবাসার উদ্দেশ্য পড়লে সব বন্ধুত্বে পরিনত হয়। এক ব‍্যক্তি জিনের ভালোবাসার উদ্দেশ্য পড়ে ছিল যে,"হে আল্লাহ যো জিন নেককার ও আমার দস্ত হয়ে যাক"বলার পর এক জিন আপনা আপনি চলে এসে ছিল এবং ওই ব‍্যক্তির ভালোবাসায় দিন রাত খেদমত করতে ছিল।(s o p pert-31)

১১/#   যে ব্যক্তি এই আয়াত দুটি এবং ধ্বনবৃদ্ধি দরুদ শরীফ জীবনের সাথি বানিয়ে নিবে তার জীবন ধ্বনদলতে ভরে যাবে।(s o p pert-31)

ফজিলত : যে ব্যক্তি তার সম্পদের মাঝে বরকত হোক এ বিষয়ে আগ্রহী সে যেনো রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর উপরোক্ত দরুদ-শরিফটি পড়ে। (হিসনে হাসিন-২২০) কোনো মুসলমানের কাছে যদি সদকা করার মত কোনো সম্পদ না থাকে তাহলে সে যেনো এ দরুদ শরিফটি দোয়ার মাঝে পড়ে, এটা তার জন্য জাকাতসরূপ হবে। অর্থাৎ এতে তার সম্পদের মাঝে বরকত হবে এবং তা পবিত্র হবে। (হাকেম-৭১৭৫) আরবি দোআ : একবার اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ. বাংলা
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আলাল মুয়মিনিনা ওয়াল মুয়মিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি। বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর তোমার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদ এর উপর, এবং সব মুমিন নর-নারী ও মুসলমান নর-নারীর উপর। মূল-হজরত মাওলানা ইউনুস বিন উমর পালনপূরী অনুবাদ-মাওলানা মিরাজ রহমান

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে তার মাল-সম্পদ বৃদ্ধি হোক সে যেন নিম্নের দরূদ শরিফের ওপর আমল করে। এই দরূদটি প্রতিদিন একশ’ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। 

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা ওয়া সল্লি আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। -বোখারি শরিফ

১২/    স্বামী ও স্ত্রীর ঝগড়ার জন্য সকাল সন্ধ্যায় ১১বার পাঠ করলে ভালোবাসায় পরিনত হবে।(part-32).

১৩/    যে ব্যক্তি এই আয়াত দুটি বেশি বেশি পাঠ করবে সে খিজির আঃ কে দেখতে পাবে।(part-32)

১৪/   যে ব্যক্তি এই আয়াত দুটি পাঠ করবে তার অন্তর থেকে সমস্ত রকমের ভয় দুর হয়ে যাবে। বেশি বেশি পাঠ করলে দুশমন মাথা ঝুঁকিয়ে দিবে।(part-32)

১৫/   যে ব্যক্তি এই আয়াত দুটি পাঠ করবে তার নসিবে হজ করার তৌফিক দান করবেন।(part-32)

১৬/   যে ব্যক্তি ফজরের ও আসরের পর সূরা তাওবার শেষ দুটি আয়াত সাতবার করে পাঠ করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়।(part-32)

১৭/   যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই আয়াত দুটি পাঠ করে তার প্রতি আল্লাহ ৭০ বার রহমতের নজর দিয়ে দেখে,৭০ হাজত পূর্ণ করে, তার মাগফেরাত করে, জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব হবে, মরনের আগে জান্নাত দেখে মৃত্যু বরণ করবে, দুশমনের উপর ভারি করে দিবে।(vol-600)


সূরা তাওবার শেষ আয়াতের দুটির ফজীলত:- সূরা তাওবার শেষ আয়াতের দুটির ফজীলত:- Reviewed by Adam Blog on April 29, 2023 Rating: 5
Powered by Blogger.